বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ || ১১ পৌষ ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৭:৩৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাছ চাষে সুদিন ফিরছে চাষিদের!

মাছ চাষে সুদিন ফিরছে চাষিদের!

গ্রামে দুই বিলে মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন গ্রামবাসীরা। বিলের পার্শ্ববর্তী পাঁচ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এক সময় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করতো। তবে বর্তমানে বিলে মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তারা। জানা যায়, দুটি বিলের একটির নাম চামগড়া অপরটি পদ্ম। দুটি বিল প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিন কিলোমিটার প্রস্ত।

এ দুই বিলজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৪৫০টি পুকুর। প্রায় ১৫ বছর আগে এই বিলের জমির মালিকরা পুকুর খনন করে। প্রতি বছরই পুকুরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। মাছ চাষিরা বলেন, এই দুই বিল মারমী গ্রামের বৃহৎ অংশ জুড়েই রয়েছে। পাশাপাশি সুলতানপুর, হাতিগড়া, বয়রা, শ্যামপুর গ্রামেও রয়েছে এ দুই বিলের সীমানা। বর্তমানে সেখানে মাছ চাষ করে প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মাছ চাষি সোহেল বলেন, বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় সেখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছিলনা। ফলে সেখানে কোনো ফসলের আবাদ করা যেত না। এখন পুকুর খনন করাতে মাছ চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকে মালিক থেকে পুকুর লিজ নিয়েও মাছ চাষে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল-মূল চাষ করছেন। তিনি আরো বলেন, আমি ৩টি পুকুরে মাছ চাষ করি। মাছ চাষ করে সংসারের খরচ বাদে সঞ্চয়ও করতি পারি।

দাশুড়িয়া গ্রামের মাছচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিলে ছোট পুকুরের সংখ্যাই বেশি। ১০ কাঠা থেকে শুরু করে ৩৭ বিঘার পুকুরও রয়েছে। এইসব পুকুরে দেশি-বিদেশি মাছের চাষ হয়। রুই, সিলভার, মৃগেল, শরপুঁটি, চিতল, কাতল, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এখানে চাষ হয়। এইসব মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় অন্যান্য গ্রামে। লাডুলি গ্রামের মাছচাষি শরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ৩৭ বিঘার বড় পুকুর সহ আরো ৮টি পুকুরে মাছ চাছ করি। আমার মতো অনেকেই এখানে মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। সকল খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা আয় হয়। তবে বর্তমানে মাছের খাদ্যের দাম বাড়ায় মাছ চাষিদের লাভের পরিমান কমেছে। উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, ঈশ্বরদীতে মোট ২৪৭৬ পুকুর রয়েছে। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী ও সুলতানপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাছের ব্যাপক চাষ হয়। তারা দেশি জাতের মাছের চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ