শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ || ১২ পৌষ ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৭:০০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যৌন হয়রানির অভিযোগ সেট ছাড়লেন জায়েদের নায়িকা

যৌন হয়রানির অভিযোগ সেট ছাড়লেন জায়েদের নায়িকা

নৃত্যপরিচালক মাইকেল বাবু যৌন হয়রানি করেছেন─এমন অভিযোগ তুলে শুটিং ফেলে চলে গেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। তিনি কক্সবাজারে ‘ছায়াবাজ’-এর শুটিং করছিলেন। তার বিপরীতে আছেন জায়েদ খান।

সায়ন্তিকা অভিযোগ করেছেন, নাচের মুদ্রা দেখানোর নাম করে নৃত্যপরিচালক মাইকেল তাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করেছেন। তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাইকেল। তিনি বলছেন, যে অভিযোগ সায়ন্তিকা তুলছেন সেটির শক্তিশালী ভিত্তি নেই। কারণ, শুটিংয়ে নাচ শেখাতে গেলে শরীরে হাত লাগাটাই স্বাভাবিক। আসলে সায়ন্তিকা চাচ্ছেন ইন্ডিয়াতে শুটিং করতে এবং ইন্ডিয়ান কোনো নৃত্যপরিচালক নিয়ে শুটিং করতে। তিনি এখানে শুটিং চান না। মাইকেল বাবু বলেন, সাগড়পাড়ে দিনে শুটিং করার জন্য সেট বানাই। ২টা ১৫ মিনিটে লাঞ্চ ব্রেক দেয়া হয় এক ঘণ্টা। ড্রেস বদলে আসবে বলে ৬টায় পর সেটে আসেন নায়িকা। এরমধ্যে জোয়ার এসে সেই সেট ভেঙে যায়! তখন সূর্য প্রায় ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা। এসে রেডি হতে হতে সন্ধ্যা। তখন দিনের আলো কোথায় পাবো? ওদিকে প্রযোজক আমাকে প্রেসার দিয়ে বলে, এখানে শুটিং করতে এসেছি নাকি আড্ডা দিতে এসেছি?

তিনি বলেন, এর আগে নৃত্য পরিচালক কালু ভাই তাদের উপর রাগ করে শুটিং শেষ না করে চলে যায় আরেকটি গানের। সব রেডি থাকার পরেও নায়িকা দেরিতে আসায় শুটিং শুরু হতে বিলম্ব হয়। এই বিষয়টি প্রযোজককে জানাই। এরপর থেকেই নায়িকা আমার উপর অখুশি। কেন হাত ধরলাম এটা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। বারবার শট এনজি হচ্ছিল বিধায় আমি দেখিয়ে দিতে গিয়েছিলাম কীভাবে নাচতে হবে। এখানে হাত স্পর্শ করার অভিযোগ হাস্যকর! মাইকেল বাবু বলেন, মৌসুমী, পরীমনি, অপু বিশ্বাসরা আমার নির্দেশনায় নেচেছেন। তারা কোনোদিন এমন বাজে অভিযোগ তোলেননি। তিনি হাত ধরার যে অভিযোগ তুলছেন সেই ভিডিও আমার ক্যামেরায় আছে। আমি তাকে শিখিয়ে দিচ্ছিলাম। কিন্তু তিনি এভাবে অভিযোগ আনলেন কাম্য ছিল না। প্রযোজককে বলেছেন আমি থাকলে শুটিং করবেন না। অন্য শুটিং করতে রাজি আছে, কিন্তু আমি থাকলে গানের শুটিং করবেন না বলেছেন।

গত ৩০ আগস্ট ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। সেদিন বিকেলেই নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে যান তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার। কিন্তু তিনি সেটা না করে ৭ সেপ্টেম্বর চলে যান। সূত্র বলছে, গান দিয়ে শুরু হয় শুটিং। নির্বিঘ্নেই শেষ হয় প্রথম গানের শুটিং। দ্বিতীয় গানের শুটিং চলাকালীন হঠাৎ করেই সায়ন্তিকা অভিযোগ করেন নৃত্য পরিচালক মাইকেলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, নৃত্য পরিচালক অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাকে স্পর্শ করেছেন। তাই পরিবর্তন করতে হবে নৃত্য পরিচালককে, অন্যথায় কাজ করবেন না তিনি। প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বললেন, মাইকেলের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। মাইকেল থাকলে তিনি কোনোভাবেই কাজ করবেন না জানিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। মাইকেল অনুমতি নিয়েই নাচের মুদ্রাটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এতে নৃত্য পরিচালকের কোনো দোষ আমি দেখি না। তাই সায়ন্তিকাকে জানালাম, মাইকেলের সঙ্গেই তাকে কাজ করতে হবে। না হলে কাজ করার প্রয়োজন নেই। পরদিন সকালে সায়ন্তিকা সেট ছেড়ে চলে যান।

এই ঘটনায় ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শুটিং সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এই ছবি আর আলোর মুখ দেখবে না। নৃত্যপরিচালক মাইকেল বাবু জানান, প্রযোজক পরিচালক দুজনেই নায়িকাকে বলেছে দিয়েছে আমাকে না নিয়ে তারা কাজ করবে না। কিন্তু নায়িকা কোনোভাবেই আমার সঙ্গে কাজ করতে চান না। সেদিক থেকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সাতদিনে শুটিংয়ে ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে!

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ