শনিবার   ১৫ মার্চ ২০২৫ || ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রকাশিত : ০৬:২৩, ১৬ আগস্ট ২০২১

দারুহরিদ্রা এর উপকারিতা

দারুহরিদ্রা এর উপকারিতা

বাংলাদেশে এই গাছ পাওয়া যায় তবে এটি মূলত পাহাড়ে জন্মাতে দেখা যায় । সমতল ভূমিতে এই গাছ তেমন দেখা যায় না । দারু-হরিদ্রা বলতে বোঝায় কাঠের-হরিদ্রা । এই গাছ সাধারণত ৩-৮ ফুট লম্বা হয়ে  থাকে ।

এই গাছ তিন থেকে সাত বা আট ফুট পর্য্ন্ত উচু হলেও শাখাগুলি নিম্নমূখী , পাতাগুলির কিনারা দাতে যুক্ত, শাখাগ্রে সরু সরু কাঁটা  থাকে । দরুহরিদ্রা গাছের গায়ে কাঁটায় ভরা, দেখতে মধ্যমাকৃতির, অনেকটা লেবু গাছের মত, পাতার আকার ছোট ও পুরু এবং এর কিনারা খাঁজকাটা । দারুহরিদ্রার ফল খেতে টক ও এটা দেখতে কিসমিসের মত । দারুহরিদ্রার ফুল সাধারণত বসন্তকালে ফোটে এবং গ্রীষ্মকালে এর ফল দেখতে পাওয়া যায় । এই গাছ বাংলাদেশ , ভারত নেপাল ও এ উপমহাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এই গাছ জন্মাতে দেখা যায় । এই গাছের নানা ধরনের উপকারি ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।

ভেষজ গুণাগুণ

কোষ বৃদ্ধিতে :

সেদস্বী দেহ , শরীরে কফের প্রাধান্য যেখানে , সেক্ষেত্রে দারুহরিদ্রার কাষ্ঠ এক থেকে দুই গ্রাম নিয়ে থেতো করে পানি দিয়ে বেটে ছেকে খেতে হবে ।

নেত্ররোগের সমস্যায় :

গরম জলে দরুহরিদ্রা ৩ গ্রাম থেতো করে ভিজিয়ে রাখতে হবে । এর পর ৪/৫ ঘন্টা অন্তর খেতে দিলে চোখ লাল , ব্যথা , ফুল, জলঝরা, পিচুটি পড়া ইত্যাদিতে উপকার পাওয়া যায় ।

শ্বেতপ্রদরের সমস্যায় :

প্রথমে এই গাছের ক্বাথ ব্যবহার করে এমনকি কাঠ ঘষে চন্দনের মত করে নিতে হবে । এরপর এটি গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

মুখের ক্ষত দূর করতে :

প্রথমে এই কাঠ ঘসে নিতে হবে । এরপর এর ক্বাথ টি মুখে লাগালে ক্ষত ভালো হয়ে যায় ।

ব্রণ ও মেছতা :

এই কাঠ ঘষে চন্দনের মতো করে লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ