দারুহরিদ্রা এর উপকারিতা

বাংলাদেশে এই গাছ পাওয়া যায় তবে এটি মূলত পাহাড়ে জন্মাতে দেখা যায় । সমতল ভূমিতে এই গাছ তেমন দেখা যায় না । দারু-হরিদ্রা বলতে বোঝায় কাঠের-হরিদ্রা । এই গাছ সাধারণত ৩-৮ ফুট লম্বা হয়ে থাকে ।
এই গাছ তিন থেকে সাত বা আট ফুট পর্য্ন্ত উচু হলেও শাখাগুলি নিম্নমূখী , পাতাগুলির কিনারা দাতে যুক্ত, শাখাগ্রে সরু সরু কাঁটা থাকে । দরুহরিদ্রা গাছের গায়ে কাঁটায় ভরা, দেখতে মধ্যমাকৃতির, অনেকটা লেবু গাছের মত, পাতার আকার ছোট ও পুরু এবং এর কিনারা খাঁজকাটা । দারুহরিদ্রার ফল খেতে টক ও এটা দেখতে কিসমিসের মত । দারুহরিদ্রার ফুল সাধারণত বসন্তকালে ফোটে এবং গ্রীষ্মকালে এর ফল দেখতে পাওয়া যায় । এই গাছ বাংলাদেশ , ভারত নেপাল ও এ উপমহাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এই গাছ জন্মাতে দেখা যায় । এই গাছের নানা ধরনের উপকারি ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।
ভেষজ গুণাগুণ
কোষ বৃদ্ধিতে :
সেদস্বী দেহ , শরীরে কফের প্রাধান্য যেখানে , সেক্ষেত্রে দারুহরিদ্রার কাষ্ঠ এক থেকে দুই গ্রাম নিয়ে থেতো করে পানি দিয়ে বেটে ছেকে খেতে হবে ।
নেত্ররোগের সমস্যায় :
গরম জলে দরুহরিদ্রা ৩ গ্রাম থেতো করে ভিজিয়ে রাখতে হবে । এর পর ৪/৫ ঘন্টা অন্তর খেতে দিলে চোখ লাল , ব্যথা , ফুল, জলঝরা, পিচুটি পড়া ইত্যাদিতে উপকার পাওয়া যায় ।
শ্বেতপ্রদরের সমস্যায় :
প্রথমে এই গাছের ক্বাথ ব্যবহার করে এমনকি কাঠ ঘষে চন্দনের মত করে নিতে হবে । এরপর এটি গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।
মুখের ক্ষত দূর করতে :
প্রথমে এই কাঠ ঘসে নিতে হবে । এরপর এর ক্বাথ টি মুখে লাগালে ক্ষত ভালো হয়ে যায় ।
ব্রণ ও মেছতা :
এই কাঠ ঘষে চন্দনের মতো করে লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায় ।
দৈনিক গাইবান্ধা