সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে কাফির লেবু
অ্যারোম্যাটিক যতগুলো হার্বস থাই কুজিনে ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো “কাফির লেবু”। কাফির লেবু সুগন্ধে, স্বাদে অনন্য। এই লেবুর বৈজ্ঞানিক নাম Citrus hystrix যাকে ইংরেজীতে অনেকসময় ম্যাকরুট লাইম অথবা মরিশাস পাপেডা নামে ডাকা হয়।
কাফির লেবুর গাছ কাঁটাযুক্ত ঝোঁপজাতীয়, ৬ থেকে ৩৫ ফুট উঁচু, সুগন্ধিত, বিশেষ আকৃতির পাতাবিশিষ্ট। ফলের খোসা অমসৃণ, কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পরিপক্ব দশায় হলুদ রঙের হয়। বাহ্যিক চেহারা এবং ছোট আকারের কারণে একে সহজে আলাদা করা যায়। ফলের প্রস্থ ৪ সেন্টিমিটার। এর পাতা স্যুপসহ বিভিন্ন খাবারে সুঘ্রাণ যুক্ত করার জন্য ব্যবহার হয়।
কাফির লেবু কুচি করে সালাদে বেশি ব্যবহার হয়। এই গাছের সব থেকে বহুল ব্যবহৃত অংশ হলো পাতা যা তাজা, শুকনো বা হিমায়িত অবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
কাফির লেবুর রসের চেয়ে এর পাতা বেশি ব্যবহৃত হয়। তরকারির স্বাদ, ঘ্রাণ বাড়াতে এই পাতার ব্যবহার বিশ্ব জুড়ে।
কাফির লেবু বাংলাদেশসহ, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড এবং ফিলিপাইন সহ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে।
কাফির লেবুর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। যেমন-
(১) কাফির লেবুতে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ভাইরাল থাকায় অতিরিক্ত ওজন কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে, এবং লিভারের ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে।
(২) এতে প্রচুর পরিমানে সাইট্রিক এসিড,ক্যালসিয়াম ও লিমলিন থাকে যা এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
(৩) ভিটামিন সি এর বড় উৎস বলে পাকস্থলী ও হৃদপিণ্ডএর বিভিন্ন রোগসহ সর্দি কাশি, জ্বর, ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ ও হাইপারটেঁশনে কাফির লেবু খুব ভালো উপকার দেয়।
(৪) সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা যে, কাফির লেবু সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
(৫) সকাল বেলা কাফির লেবুর রস খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে।
(৬) কাফির লেবু খাবারের অনিহা দূর করে খাবারের প্রতি রুচি বাড়ায়।
(৭) কাফির লেবুর রস এবং খোসাবাটা প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়। উকুননাশক হিসেবে শ্যাম্পুতে এমনকি কাপড় পরিষ্কার করতে এই লেবুর রস ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ