চিয়া সিড নাকি কুমড়ার বীজ, কোনটিতে বেশি পুষ্টি?
চিয়া সিডস খুবই উপকারী একটি বীজ। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। একই সঙ্গে কুমড়ার বীজও কিন্তু উপকারী। এই বীজেও নানা ধরনের পুষ্টিগুণ আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পালন করতে চিয়া সিড ও কুমাড়ার বীজ দারুণ উপকারী। তবে এই দু’ধরনের বীজের মধ্যে কোনটিতে বেশি পুষ্টিগুণ, তা কি জানেন?
চিয়া সিডের উপকারিতা
ওজন কমাতে সাহায্য করে
চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে একবার খেলেই অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে এই বীজ। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ কারণে ওজন কমে দ্রুত।
কোলেস্টেরল কমায়
রক্তে ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরল দু’টোই থাকে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে রক্তে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে। চিয়া সিড খেলে হার্টও সুস্থ থাকে।
পেটের জন্যও ভালো
যেহেতু এই বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তাই পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কমে।
প্রদাহ কমায়
শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে চিয়া বীজ। এই প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে চিয়া সিড। এর ফাইবার ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কুমড়ার বীজের উপকারিতা
স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়
কুমড়ার বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। যা স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত কুমড়ার বীজ ডায়েটে রাখলে আপনার স্নায়ু ভালো থাকবে।
পেশি সবল করে
পেশি মজবুত করতেও ম্যাগনেশিয়াম বিশেষ করে জরুরি। তাই কুমড়োর বীজ নিয়মিত খেলে পেশি মজবুত হয়।
কোষ গঠনে সাহায্য করে
কোষের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ডিএনএ’ তৈরি করতে সাহায্য করে কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম। তাই এটি শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তারা চাইলে স্বল্প পরিমাণে হলেও নিয়মিত খেতে পারেন কুমড়ার বীজ।
রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই বীজ বেশ উপকারী। এতে থাকা পুষ্টিগুণ রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস থাকে বশে।
তাহলে চিয়া সিড না কুমড়ার কোনটি খাবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর চেষ্টা যারা করছেন তাদের জন্য চিয়া বীজের বিকল্প নেই। তবে এর পাশাপাশি স্নায়ু, কোষ, পেশি গঠনের জন্য খেতে পারেন কুমড়ার বীজও।
এছাড়া ডায়াবেটিস ও প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে দুটো বীজই। তাই এ দু’ধরনের বীজই খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
সূত্র: জাগো নিউজ ২৪