কীভাবে তাঁরা হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন, জেনে নিন দুই শব্দে
এ মুহূর্তে পৃথিবীতে যত বিলিয়নিয়ার (অন্তত ১০০ কোটি ডলারের মালিক) আছেন, তাঁদের ৮৫ শতাংশ ফার্স্ট জেনারেশন বা প্রথম প্রজন্মের বিলিয়নিয়ার বা মিলিয়নার। অর্থাৎ তাঁদের কেউ-ই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের একজন। অর্থাৎ বিশ্বে যাঁদের অন্তত ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আছে, তাঁদের ৮৫ শতাংশই আগে ধনী ছিলেন না বা ধনী পরিবারে জন্মাননি। মাত্র ১৫ শতাংশ উত্তরাধিকারসূত্রে ধনী।
প্রশ্ন হলো, এই ধনীরা কীভাবে এত ধনী হলেন?
উত্তরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়েছে একটি পোস্ট, যেটিতে খুব সহজভাবে, অল্প কথায় বলে দেওয়া হয়েছে কোটি টাকার এ প্রশ্নের উত্তর। এই ধনীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁরা কীভাবে এত অল্প সময়ে এত টাকার মালিক হলেন? তাঁদের একটা বড় অংশ কেবল দুই শব্দে এর উত্তর দিয়েছেন, ‘বই পড়ে’। এরপর প্রশ্ন আসে, তাঁরা কতগুলো বই পড়েছেন আর কী ধরনের বই পড়েছেন।
বেশির ভাগ মিলিয়নিয়ার ও বিলিয়নিয়ার বছরে অন্তত ৫০টি বই বা সপ্তাহে গড়ে ১টি বই পড়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের একজন ওয়ারেন বাফেট (ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, তিনি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের ভেতর পঞ্চম, দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন প্রথম) সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাতটি বই পড়েন। মার্কিন এই বিজনেস ম্যাগনেট ৯৩ বছর বয়সে এসেও দিনে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বই পড়েন। বিল গেটসও নিয়মিত বই পড়েন এবং যেখানেই যান, সবাইকে বই পড়তে অনুপ্রাণিত করেন।
মজার ব্যাপার হলো, এই ধনীরা ফিকশন পড়েন কম। উপন্যাস, গল্প, রম্যরচনা, ভ্রমণকাহিনী কম পড়েন। বেশি পড়েন পড়েন ‘সেলফ ডেভলপমেন্ট’ বা আত্মোন্নয়নের জন্য যে ধরনের বই প্রয়োজন, সেগুলো। পড়েন সফল ব্যক্তিদের জীবনী আর আইডিয়াসমৃদ্ধ বই। পড়েন অনুপ্রেরণামূলক বই। নিজের ক্যারিয়ারের জন্য যে বইগুলো পড়া জরুরি, সেগুলো তুলে নেন হাতে। তাঁদের মতে, একটা ‘ঠিকঠাক’ বই থেকে পাওয়া যায় কোটি টাকার আইডিয়া। আর একটা ‘ঠিকঠাক’ আইডিয়া বদলে দেয় জীবন। কেবল নিজের নয়, আরও অনেকের।
দৈনিক গাইবান্ধা