আপনার পায়ের তালু কি হলুদ? জেনে নিন সম্ভাব্য কারণ
আমাদের শরীরের ছোট-বড় অনেক সমস্যার লক্ষণই আমরা শুরুতে উপেক্ষা করি। কিন্তু শুরুতে ছোট থাকলেও পরবর্তীতে সেসব সমস্যা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন ধরুন, আমাদের পায়ের তলা অনেক সময় হলুদ হয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনাকেই স্বাভাবিক মনে করে আমরা শুরুতে তেমন একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পরিবর্তনকে উপেক্ষা না করতে।
পায়ের তালু হলুদ হওয়ার সম্ভাব্য কারণ
বেশ কয়েকটি কারণ আপনার পায়ের তলগুলি হলুদ হয়ে যেতে পারে। একটি সাধারণ কারণ হলো কেরাটিন জমা হওয়া। এই কেরাটিন হলো ত্বকে পাওয়া প্রোটিন, যা অতিরিক্ত ঘর্ষণ বা চাপের কারণে বিশেষ করে খারাপ ফিটিং জুতা পরার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি করে।
কেরাটিন জমা হওয়া ছাড়াও জন্ডিসের মতো অন্তর্নিহিত সমস্যা সনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি হয় এবং পা সহ ত্বক হলুদ হয়ে যেতে পারে।
StatPearls পাবলিশিং-এর মতে, নবজাতক এবং বয়স্কদের মধ্যে জন্ডিস বিশেষভাবে দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রায় ২০ শতাংশ শিশুর জীবনের প্রথম সপ্তাহে জন্ডিস ধরা পড়ে। মূলত একটি অপরিণত হেপাটিক সংযোগ প্রক্রিয়ার কারণে এটি ঘটে। পায়ের তালুর রঙের পরিবর্তনও লিভারের অকার্যকারিতা বা পেরিফেরাল ভাস্কুলার রোগের মতো কারণের ফল হতে পারে।
অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ছত্রাকের সংক্রমণ এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, যেমন গাজর এবং মিষ্টি আলু, যা হলুদ বর্ণের হতে পারে।
লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো কি পায়ের তালু হলুদ করতে পারে?
জীবনযাপনের ধরন পায়ের রঙের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে, কারণ কিছু অভ্যাস এবং পরিবেশগত কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন শরীরের টক্সিন অপসারণ করার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা এই সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। ধূমপান বা অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের মতো অভ্যাস লিভারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যা বিলিরুবিন প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপরিহার্য।
কখন চিকিৎসা জরুরি?
আপনার পায়ের ত্বক এবং চোখের সাদা অংশের (কনজাংটিভা) হলুদ বিবর্ণতা পরীক্ষা করুন। এটি একটি গুরুতর অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ত্বকের হলুদ হওয়া জন্ডিস নামেও পরিচিত। এটি লিভারের কার্যকারিতা, পিত্ত নালী বাধা, বা অন্যান্য পদ্ধতিগত অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যার জন্য একটি সতর্কতা চিহ্ন হতে পারে। যদি আপনি অতিরিক্ত উপসর্গ যেমন চুলকানি, ব্যথা, ফোলা, প্রস্রাব বা মলের রঙে পরিবর্তন অনুভব করেন তবে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট