বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫ || ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রকাশিত : ১৭:৪২, ১১ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৭:৪৬, ১১ মার্চ ২০২৪

এসটারিক্স জাতের আলু চাষে বেলালের বাজিমাত (ভিডিওসহ)

নিভৃত পল্লীর বেলাল হোসেন। ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। সম্প্রতি অবসরে এসে নিজেই সেজেছেন কৃষক। প্রথমবার দুই একর জমিতে বারি-২৫ ( এসটারিক্স) জাতের আলু চাষে তাক লাগিয়েছেন এলাকার কৃষকদের। এই জমিতে ৫০০ মণের বেশি আলু ফলিয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকছে এই কৃষকের। 

ধানের রাজ্যে আলু উৎপাদনে এলাকাজুড়ে সাড়া ফেলছেন বেলাল হোসেন। এরই মধ্যে তার আবাদ করা আলু দেখতে আসছেন শত শত কৃষক। আগামী বছরে তারাও আলু চাষবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক বেলাল হোসেন দুই একর জমিতে বারি-২৫ (এসটারিক্স) জাতের আলু আবাদ করেছেন। অধিক পরিমাণ ফলন হয়। আলু সংগ্রহের সময় উৎসুক মানুষের ভিড়ও লক্ষ্যণীয়। বিঘাপ্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে ৯০ মণ। এতে সার-শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম অনুয়ায়ী ৪ লক্ষাধিক টাকার আলু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় প্রত্যেকটি আলুর ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম হয়েছে। এটি বাম্পার ফলন বলে এই কৃষকের দাবি।  

স্থানীয় কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে কেউই আলু আবাদ করেন না। ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করেন। এ বছর বেলাল হোসেনের আলুর আবাদ দেখে অবাক হয়েছি। এতো বড় বড় আকারের আলু আগে কখনো দেখিনি। ইনশাআল্লাহ আগামী বছর থেকে আমিও এই জাতের আলু চাষ করবো।  

কৃষক বেলাল হোসেন জানান, নিজে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এসটারিক্স জাতের আলু আবাদ করেছেন। অধিক ফলনও পেয়েছেন। স্বল্প খরচে এই আবাদ কেউ করলে অনায়াসে লাভবান হবেন। আগামী রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হবে। যাতে করে বেতকাপা এলাকাটি আলুর রাজ্যে পরিণত হয়।
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওয়াসার মিশু বলেন, বারি-২৫ জাতের আলু আবাদে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। বাজারে চাহিদাও ভালো রয়েছে। যা কৃষক বেলাল হোসেন আমাদের উদাহরণ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ