বুধবার   ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ || ১৫ মাঘ ১৪৩১

দৈনিক গাইবান্ধা

প্রকাশিত : ১৭:২৮, ১২ জুন ২০২৪

গাইবান্ধায় ২০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন

গাইবান্ধায় ২০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন
সংগৃহীত

চলতি বছর গাইবান্ধায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাত উপজেলায় এবার আনুমানিক ৮ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৮ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে। এসব ধানের বর্তমান বাজারমূল্যে ১৯৭ কোটি ৭৭১ লাখ ১৯৪ হাজার টাকা। জেলায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৪ হাজার ৩২০ হেক্টর এবং চিকন জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৮৩ হাজার ৬১০ হেক্টর। এ ছাড়া ৪১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার কৃষকরা ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। যার পরিমাণ গত বছর ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ২০৫ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলার ধানচাষিরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। জেলায় ধান কাটাও প্রায় শেষ।

পলাশবাড়ী উপজেলার বালাবামুনিয়া গ্রামের কৃষক আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি অফিসের প্রণোদনার হাইব্রিড ধান পেয়ে এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। এর মধ্যে জমির সব ধান কাটা হয়ে গেছে। এ বছর চাষ করা ৮০ শতাংশ জমিতে অন্তত ৭০ মণ ধান হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। যার ফলে খরচ বাদে এ বছর ধান চাষ করে অন্তত ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’ 

ওই গ্রামের আসাদুজ্জামান নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরেই ধান চাষ করছি। এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে উফশী (চিকন) জাতের বোরো ধানের চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে জমির সব ধান কাটা হয়ে গেছে। ৪০ শতাংশ জমির ধান চাষের সব খরচ বাদে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে।’

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা গ্রামের মাসুম মিয়া বলেন, ‘চলতি বছরে ১৫০ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। ধান কাটাও শেষ হয়েছে। এবার ফলনও ভালো পেয়েছি। ১৫০ শতাংশ জমিতে ধান চাষে ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি, এ জমি থেকে অন্তত ১ লাখ টাকার বেশি ধান বিক্রি করতে পারব।’

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. খোরশেদ আলম খবরের কাগজকে জানান, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর জেলার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারেও চলতি বছর ধানের দাম ভালো। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ধানচাষিরা অধিক লাভবান হবেন। এ ছাড়া ধানচাষিদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় পাশে ছিলেন। আমরাও সঠিকভাবে তদারকি করেছি। আমাদের লক্ষ্য কৃষকরা যেন চাষাবাদ করে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ