গাইবান্ধায় ক্লিনিকে জরিমানা, এক্সরে রুম সিলগালা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দীর্ঘ দিন ধরে চলছিলো একটি ‘ভাঙ্গা হাঁড় জোড়া লাগানো’র হাসপাতাল। আয়ুর্বেদীয় পদ্ধতিকে গাছ-গাছড়ার ঔষধে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি সেখানে বসানো হয়েছিল এক্সরে মেশিনও। কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই সেখানে দেয়া হচ্ছিলো চিকিৎসা।
শনিবার বিকেলে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাসিরাবাদে স্থাপিত ‘আবুল কালাম (হাঁড় ভাঙ্গা) চিকিৎসালয়’ নামের অনুমোদনহীন এই প্রতিষ্ঠানে অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসা প্রদান ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক্সরে রুম সিলগালা করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আব্দুল্যা বিন শফিক এই রায় প্রদান করেন। এসময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম (হাঁড় ভাঙ্গা) চিকিৎসালয়ের স্বাত্বাধিকারী ডা. হাবিবুর রহমান দীর্ঘ দিন ধরে হাড়ভাঙ্গার চিকিৎসা প্রদান করে আসছিলেন। অনুমোতি ছাড়াই হসপিটালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন রেখে পরীক্ষা রিপোর্ট ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে এলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস. এম. আব্দুল্যা বিন শফিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্স-রে মেশিন পরিচালনা করার সরকারি কোন অনুমোদন দেখাতে না পারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক্সরে রুম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।