গোশত পেয়ে মলিন মুখে হাসি ফুটল মরিয়মের
গাইবান্ধার দুর্গম চরের বাসিন্দা মরিয়ম বেওয়া (৬৫)। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস তার। ঈদুল আজহায় দাওয়াত দিয়েছেন মেয়ে-জামাইকে। তাদের দুই টুকরো গোশত খাওয়ানোয় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরই মধ্যে একদল তরুণ-তরুণী তার হাতে তুলে দিলেন কোরবানির গোশত। এমন সময়ে খুব খুশি এই বৃদ্ধা।
সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে দুস্থ পরিবারের মাঝে কোরবানির গরুর গোশত বিতরণ করা হয়। এ সময় গাইবান্ধার ফুলছড়ির চরাঞ্চলের ওই মরিয়মসহ দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষ গোশতের প্যাকেট পেয়ে তারা উচ্ছ্বাসিত।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জিহাদ আকন্দ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ফারহান সাদিক, ইসরাত জাহান ইরা, আশফিকা জাহান আফি, রিধি সরকার, পুষ্পিতা সরকার, অথৈ সরকার, রুহুল আমিন, লতা রায়, সুফি আহমেদ, সুস্মিতা, জান্নাত, সাইফি, মামুনসহ আরও অনেকে।জানা যায়, গাইবান্ধার বিভিন্ন চরে বসবাসরত অধিকাংশ পরিবারে জীবিকার জন্য রোজকার লড়াইয়ে বেঁচে থাকেন।
এর মধ্যে এমন কিছু পরিবারের সদস্যের গোশত তো দূরের কথা, ঠিকমতো ডাল-ভাত পেটে জোটে না। তাদের এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের কর্মীরা গোশত বিতরণ করেছে অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে।এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জিহাদ আকন্দ বলেন, ফুলছড়ির বালাসীঘাট চরাঞ্চলের দুস্থ মানুষসহ গাইবান্ধা শহরের কিছু বয়স্কদের মাঝে গরুর গোশত বিতরণ করা হয়। ঈদের আনন্দটা আমরা সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা সম্ভব হয়েছে সকলের সহযোগিতার কারণে। দাতারা আমাদের পাশে আছেন বিধায়, আমরা এতগুলো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি।