হিংসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে আমল করবেন
হিংসা, বদনজর, জাদু, শয়তানের কুপ্রভাব ও কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে সকাল ও সন্ধ্যায় তিন কুলের আমল অর্থাৎ সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পাঠ করুন। সুরা ইখলাসে আল্লাহর পরিচয়, একত্ব ও ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে। সুরা ফালাক ও সুরা নাসে জাদুর ক্ষতি, হিংসা ও বদনজরের ক্ষতি, শয়তানের ওয়াসওয়াসাসহ সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ তাআলা তার আশ্রয় প্রার্থনা করতে শিখিয়েছেন।
সকাল-সন্ধ্যা তিন পাঠ করার আমল ও এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে। আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, সকালে ও সন্ধ্যায় সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস তিনবার করে পড়ুন, এ আমল প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ)
সুরা ইখলাস
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ: কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস-সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
অর্থ: বলো, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। তার সমতুল্য কেউ নেই।
সুরা ফালাক
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ - مِن شَرِّ مَا خَلَقَ - وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ - وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ - وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণ : কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক্ব; মিন শাররি মা খালাক্ব; ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব; ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ; ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।
অর্থ: বলো আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে; তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সুরা নাস
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ - مَلِكِ النَّاسِ - إِلَهِ النَّاسِ - مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ - الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ - مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
উচ্চারণ : কুল আউজু বিরাব্বিন নাস; মালিকিন্ নাস; ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ওয়াসিল খান্নাস; আল্লাজি ইউওয়াসয়িসু ফি ছুদুরিন নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
অর্থ: বলো, আমি আশ্রয় চাই মানুষের রবের কাছে, মানুষের অধিপতির কাছে, মানুষের মাবুদের কাছে। তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে; জিন হোক বা মানুষ হোক।
সূত্র: জাগো নিউজ ২৪